Country

2 months ago

Tirumala Tirupati Temple: ধর্মীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ নাকি খ্রিস্টধর্মের প্রচার? তিরুপতি মন্দিরের আধিকারিক সাসপেন্ড, উঠছে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্ন!

Tirumala Venkateswara Temple
Tirumala Venkateswara Temple

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:  ভগবান বেঙ্কটেশ্বরের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র  তিরুমালা তিরুপতি মন্দির আবারও খবরে। এইবার বিতর্কের কেন্দ্রে মন্দিরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। অভিযোগ, তিনি একটি খ্রিষ্টান প্রার্থনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন। আর সেই কারণে  মন্দিরের সহকারী নির্বাহী আধিকারিক রাজাশেখর বাবুকে সাসপেন্ড করেছে তিরুমালা তিরুপতি  দেবস্থানম কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, রবিবার করে তিরুপতি জেলায় নিজের শহর পুট্টুরের গির্জার প্রার্থনাসভায় অংশ নিচ্ছিলেন রাজাশেখর। আর তাতেই মন্দির কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়েন তিনি। হিন্দু দেবোত্তর আইনে যে বিধি রয়েছে, রাজাশেখর তা লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের অভিযোগও তুলেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তিরুমালা তিরুপতি মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘মন্দির কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছেন যে, শ্রী রাজাশেখর বাবু প্রতি রবিবার পুট্টুরে গির্জার প্রার্থনাসভায় অংশ নেন’। অহিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন রাজাশেখর।  শিক্ষক, প্রযুক্তি অফিসার, নার্স, আধিকারিক-সহ এখনও পর্যন্ত ১৮ জনকে বদলি করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, তিরুমালা তিরুপতির বিধি লঙ্ঘন করেছেন রাজাশেখর। হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের অংশ হয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছেন তিনি। ভিজিল্যান্স বিভাগ বিষয়ে তুলে ধরে, জমা পড়ে প্রমাণপত্র। সেই  নিরিখেই রাজাশেখরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। গির্জার প্রার্থনাসভায় রাজাশেখর রয়েছেন, এমন একটি ভিডিও-ও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মন্দির তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম।  আর সেখানে এহেন ঘটনা এবারই প্রথম নয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও বেশ কিছু TTD কর্মীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অভিযোগ ছিল, তাঁরা অহিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, যা মন্দিরের বিধান লঙ্ঘন করে। তখনও এই বিতর্ক ঘিরে উত্তাল হয়  প্রশাসনিক মহল। TTD চেয়ারম্যান বিআর নায়ডু একাধিকবার প্রকাশ্যে জানিয়ে এসেছেন, তিনি মন্দিরে অহিন্দু কর্মীদের নিয়োগের বিরোধী। তাঁর মতে, এটি একটি “স্বতন্ত্র হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান”, যেখানে নির্দিষ্ট ধর্মীয় শৃঙ্খলা মেনে চলা আবশ্যক। তিনি আরও জানিয়েছেন, মন্দিরে নিযুক্ত অহিন্দু কর্মীদের হয় স্বেচ্ছাবসর  নিতে বলা হবে, নয়তো তাঁদের অন্য দফতরে বদলি করা হবে।

এই ঘটনা বৃহত্তর ধর্ম-প্রশাসন সম্পর্ক, সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে জাতীয় স্তরে নতুন করে আলোচনা উসকে দিয়েছে। তিরুপতির মত প্রভাবশালী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। 

You might also like!