দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে শেষ হলেও, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে। সেরা রায়টি দেওয়ার জন্য আদালত সব পক্ষের কথা শুনেছে।আদালত রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানানোর জন্য দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে এবং কর্মচারীদের এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে শীর্ষ আদালতে। গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলায় বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও রাজ্যের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বারবার এই যুক্তি দেখান, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। তাতে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ ছিল, তা না হলেও দিনের পর দিন টাকা এভাবে আটকে রাখা যায় না। তাই ন্যূনতমটুকু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মিটিয়ে দিতেই হবে। শীর্ষ আদালতের দেওয়া সময়সীমা পেরলেও এখনও মহার্ঘভাতা হাতে পাননি সরকারি কর্মীরা।
এরই মাঝে কিছুদিন আগে রাজ্য সরকার আগেই শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের ডিএ সংক্রান্ত নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার। কারণ, বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই। অবশেষে সোমবার প্রায় সবপক্ষের বক্তব্য শোনা শেষ হল আদালতের। রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের বেঞ্চ। ফলে বকেয়া মিলবে কি? প্রশ্নের উত্তর এখনও অজানা।