দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাম মন্দির উদ্বোধন কে 'সামাজিক উৎসব' হিসেবেই দেখছে নাখোদা মসজিদ। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের কাছে আবেদন, এই নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য কাম্য নয়। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে যাতে কোনওভাবেই ধর্মীয় আঙ্গিকে দেখা না হয় সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে এবং এদিনটিকে বৃহত্তর সামাজিক উৎসবের রূপে দেখা যেতে পারে, বার্তা নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষের।
নাখোদা মসজিদের এক ট্রাস্টি সদস্যের কথায়, 'রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে একটি সামাজিক উৎসব হিসেবেই দেখার কথা বলব। সমস্ত বিষয় নিয়েই যে সকলকে খুশি হতে হবে তা নয়। কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও মনে বিরোধিতা থাকতে পারে। এই ঘটনা কোনওভাবেই তার ব্যতিক্রম নয়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে তা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের সমস্ত নাগরিককে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা উচিত।'
পাশাপাশি ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও উসকানিমূলক প্ররোচনায় যাতে পা না দেওয়া হয়, সেই বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি। নাখোদা মসজিদের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য সংবিধান প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, 'ভারতের সংবিধান সবার উপর, এই কথা কোনওভাবে ভুলে গেলে চলবে না। কোনওভাবেই যাতে ভারতের সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুন্ন না হয় সেই দিকে সমস্ত পক্ষকেই নজর রাখতে হবে।'
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে যখন বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় সেই সময়ও নাখোদা মসজিদের তৎকালীন ইমাম শেখ মহম্মদ সাবির শান্তি রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছিলেন যাতে তাদের তরফে শান্তি রক্ষার বার্তা দেওয়া হয়।