দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত থেমেছে, বন্ধ হয়নি ৷ ইসলামাবাদের সামান্য বেচাল দেখলেই কড়া জবাব দেবে দিল্লি ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং লাগাতার এই বার্তা দিয়ে আসছেন ৷ এর মধ্যে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সরকারের চিন্তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ৷ সৌজন্যে শিলিগুড়ি লাগোয়া বিমানঘাঁটি লালমনিরহাট ৷ গত পাঁচ দশক ধরে ব্যবহার না-করা এই এয়ারবেসকে ঢেলে সাজাতে চিন এবং পাকিস্তানের সাহায্য় নেওয়ার পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ৷
লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে চিন। সেই আবহে সেই এলাকা তদারকি করেন চিনা আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লালমনিরহাটে একটি বিমানঘাঁটি ছিল। দেশভাগের পরে পাকিস্তানি বায়ুসেনা এবং একাত্তরের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনী সেটি ব্যবহার করত। ২০১৯ সালে সেখানে বাংলাদেশ এ্যারোস্পেস এবং এভিয়েশন ইউনিভার্সিটিকে ক্যাম্পাস গড়তে জমি দেওয়া হয়। এখন সেখানেই নতুন বিমানঘাঁটি গড়ে তুলতে চাইছে ইউনুস সরকার।
এই নিয়ে বাংলাদেশ সেনা সদরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, 'লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি অনেক পুরনো। এটা আগেও ছিল কিন্তু ব্যবহার হত না। প্রয়োজন বলেই সেটাকে আবারও সচল করা হচ্ছে। তবে চিন এই বিমানবন্দর ব্যবহার করবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য নেই। অবশ্য আমি মনে করি না যে সরকার চিন্তাভাবনা না করে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।এর আগে গত মার্চ মাসে লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ। যেখানে এই বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে, সেটি ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এখানে বিমানঘাঁটি তৈরি হলে তা চিন বা পাকিস্তানের মতো কোনও দেশকে ব্যবহরের জন্যে বাংলাদেশ দেয় কি না, সেদিকে নজর রাখছেন গোয়েন্দারা।
এই বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পষ্ট বক্তব্য, 'দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনও কর্মকাণ্ড কিংবা কোনও দেশকে অনুমতি দেয়ার বিষয়ে সরকার ভেবে পদক্ষেপ নেবে।' তবে সেনার বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে লালমনিরহাট নিয়ে ইউনুস সরকার যে কী ভাবছে, সেটা নিয়ে তারা নিজেরাও অন্ধকারে।